চাঁপাই খবর
আধুনিক প্রযুক্তিতে বস্তায় চায়না আদা চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের রানী ইলা মিত্রের স্মৃতিবিজড়িত জায়গা ঘাসুড়া গ্রামের নাসির উদ্দিন।
উপজেলা কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় পরিত্যক্ত স্থানে এ চাষাবাদে ব্যাপক লাভের আশায় বুক বেঁধেছেন কৃষক নাসির উদ্দিন। তার দেখাদেখি নাচোলের বিভিন্ন গ্রামে পরিত্যক্ত জমিতে কিংবা বাড়ির আঙিনায় এখন শোভা পাচ্ছে সারি সারি বস্তায় আদার চাষাবাদ।
এরই মধ্যে প্রতিটি বস্তায় আদাগাছ তরতর করে বেড়ে উঠছে। সবুজ পাতায় ভরে গেছে প্রতিটি গাছ। এর নিচে দেখা মেলে প্রচুর পরিমাণ আদা। নতুন পদ্ধতির এ চাষাবাদ প্রথম বছরেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এ চাষাবাদ ঘিরে আগামীতে ব্যাপক লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন চাষীরা।
কৃষক নাসির উদ্দিন বলেন, তার বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ে আমবাগানে পতিত স্থানে ১ হাজার বস্তায় আদা চাষাবাদ করেছেন। তরতাজা আদাগাছের চেহারা দেখে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন স্থান থেকে দেখতে আসছেন কৃষকরা। তিনি বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে একটি প্রকল্পের আওতায় এই মসলা চাষাবাদে আমাকে সবকিছু বিনামূল্যে দেয়া হয়েছে। আদা রোপণ, পরিচর্যা থেকে শুরু করে সবকিছু কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত তদারকি করছেন। ১ হাজার বস্তা আদা চাষে যদি সঠিক সময়ে সঠিকভাবে ফসল তুলতে পারি, এখান থেকে প্রায় ৪ লাখ টাকার আদা হবে বলে আশা করছেন তিনি।
নাচোল উপজেলা কৃষি অফিসার সলেহ্ আকরাম বলেন, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সাড়ে ৫ হাজার বস্তায় চায়না আদা চাষাবাদ হয়েছে। আদা চাষে স্বল্প খরচে ১বিঘা জমিতে ২ লাখ টাকা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, মসলার উন্নতজাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের আদা চাষাবাদে বীজসহ সকল উপকরণ দেয়া হয়েছে। ফলে কৃষকরা উৎসাহিত হয়ে চাষাবাদ করছেন।
কৃষকরা এই আদা সারা বছর নিজেদের সংসারের চাহিদা মিটিয়েও বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন। এরই মধ্যে এ চাষাবাদের ব্যাপক লাভের সম্ভাবনা দেখা যাওয়ায় উপজেলাজুড়ে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আশা করছি, সামনে মৌসুমে এ চাষাবাদ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে জানান সলেহ্্ আকরাম।