দিনাজপুর সংবাদদাতা :দিনাজপুরের বড় পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২টি ইউনিটে ৩২৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুর থেকে বন্ধ একটি ইউনিট চালু করে উৎপাদন শুরু হয়। খবর বাসস।
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. ওয়াজেদ আলী বলেন, বড় পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩টি ইউনিটের মধ্যে ১টি ইউনিট থেকে ২৫০ হতে ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হতো। দেশে ডিজেল চালিত ছোট-ছোট বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ডিজেল সংকটের কারণে বিদ্যুতের উৎপাদন কিছুটা বিঘ্নিত হওয়ায় লোডশেডিং চলছে। সে কারনেই বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্দেশে এই কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অন্য একটি ইউনিট মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে। এই ইউনিটটির উৎপাদন ক্ষমতা ১২৫ মেগাওয়াট। উৎপাদন শুরুতেই ৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে ২টি ইউনিট থেকে ৩২৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উপাদন করে আজ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সূত্র জানায়, বর্তমানে যে ২টি ইউনিট চালু আছে তার প্রয়োজন প্রতিদিন সাড়ে ৩ হাজার ৫০০ টন কয়লা। খনিতে বর্তমানে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টন কয়লা মুজদ রয়েছে। নতুন ফেজের উন্নয়ন থেকে যে পরিমাণ কয়লা উত্তোলন হবে সে কয়লাসহ মজুদ কয়লা দিয়ে পুরোদমে কয়লা উত্তোলন শুরু হওয়া পর্যন্ত ইউনিট ২টি চালু রাখতে খনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কয়লা খনিতে কর্মরত দেশী-বিদেশী ৯৬ শ্রমিক কভিড রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে সাময়িক ভাবে খনির একটি ফেজের উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে যায়। চলতি মাসের শুরু থেকে আবারো কাজ শুরু হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে নতুন ১৪০৬ নং ফেজ থেকে উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে কয়লা খনির নতুন ফেজের আংশিক উত্তোলন শুরু করা হয়।
সূত্রটি জানায়, আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত এভাবে উন্নয়নের কাজ চলমান রাখতে পারলে ১৬ আগস্ট থেকে পুরোদমে কয়লা উত্তোলন করা যাবে। পুরোদমে কয়লা উত্তোলন হলে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টন কয়লা উত্তোলন সম্ভব হবে। খনিতে থেকে কয়লা উত্তোলন স্বাভাবিক থাকলে বড় পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩টি ইউনিট চালু রেখে ৫০০ মেগাওয়ার্টের অধিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা যাবে।