প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও একান্ত বৈঠক করেন। এই বৈঠকে দুই দেশের শীর্ষ নেতা শান্তি, নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতায় একসঙ্গে কাজ করতে একমত প্রকাশ করেন। দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে বৈঠক শেষে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুইপক্ষের মধ্যে ৭টি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এছাড়া ভারতীয় ঋণের দুইটি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং সড়ক ও রেল সংক্রান্ত তিনটি প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে ঘোষণা দেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে বাণিজ্য সংক্রান্ত চুক্তি সেপা ((কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট) এগিয়ে নিতে, ভারত তেল আমদানি, রোহিঙ্গাসহ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। এ নিয়ে বিগত ২০১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১২ বার বৈঠক করলেন দুই দেশের শীর্ষ নেতা।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে বৈঠক শেষে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ৭টি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এগুলো হচ্ছে, কুশিয়ারা নদীর পানি উত্তোলন, দুই দেশের বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা সংস্থার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন, ভারতের ভূপালের জাতীয় বিচার একাডেমী এবং বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে সমঝোতা, বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্মকর্তাদের ভারতের রেলওয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেয়া বিষয়ক দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা, দুই দেশের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা প্রচার ভারতী ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের মধ্যে সমঝোতা এবং মহাকাশ প্রযুক্তি ইস্যুতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়াতে দুইপক্ষের সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা সই। এই সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি খুলনার রামপালে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাচালিত তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের মৈত্রী পাওয়ার প্ল্যান্টের ইউনিট-১ যৌথভাবে উদ্বোধন করেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানান, এই প্রকল্পের আওতায় উৎপাদিত ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। একই সময়ে দুই প্রধানমন্ত্রী রুপসা রেলসেতু উদ্বোধন করেন। এছাড়া সড়ক সংক্রান্ত একটি এবং রেল সংক্রান্ত দুইটি প্রকল্পের আপগ্রেডেশনের ঘোষণা দেন দুই প্রধানমন্ত্রী।
দুইপক্ষের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সইয়ের পর নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বলেন, ‘আমি পুনর্ব্যক্ত করেছি যে, ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং ঘনিষ্ঠতম প্রতিবেশী। বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। গত এক দশকে উভয় দেশই বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। আমরা ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে বৈঠক করেছি। আগামী দিনগুলিতে আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে আমরা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাপক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। সংযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা, সীমানা এবং লাইন অব ক্রেডিট সম্পর্কে আমরা আলোচনা করেছি। আমি এবং প্রধানমন্ত্রী মোদি আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে এবং আমাদের দুই দেশে ও এ অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছি।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীনতা লাভের পর থেকে, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস ও সংস্কৃতি, পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধা, দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব এবং অব্যাহত সহযোগিতায় জোরদার হয়েছে।’
এই সময়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘বন্ধুপ্রতিম ভারত সবসময়ই বাংলাদেশের উন্নয়ন চায়। বাংলাদেশ ভারতের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী এবং চতুর্থ রপ্তানি বাজার। তাই বাংলাদেশের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা সবসময়ই চায় ভারত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নয়নের সাক্ষী হয়েছে। ঢাকা এই অঞ্চলে দিল্লির সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার এবং আমাদের শক্তিশালী সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। গত কয়েক বছরে আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য দ্রুত বাড়ছে। আমরা আইটি, মহাকাশ এবং পারমাণবিক খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নিয়েও ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আলোচনা চলছে।’ দুই দেশের মধ্যে সেপা চুক্তি নিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় বাজার ভারতের। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমরা বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী৷ সে জন্য দুই দেশের মধ্যে সেপা চুক্তি সই করার লক্ষ্যে আমরা আজ থেকে কার্যক্রম শুরু করতে একমত হয়েছি। সেপা চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশে শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুবিধা পাবে। ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যে আরও গতি আসবে। বাংলাদেশ ভারতের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার; আমাদের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদারও। আমরা একযোগে আগামী দিনে আরও এগিয়ে যেতে চাই। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় আমরা একযোগে কাজ করেছি; সফলও হয়েছি। আগামীতে পরমাণু, তথ্যপ্রযুক্তি, যোগাযোগ ইত্যাদি খাতে আমরা একযোগে কাজ করব। আগামী ২৫ বছরে ভারত ও বাংলাদেশের বন্ধুত্ব নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে।’
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম নয়াদিল্লিতে গতকাল এক প্রেসিং এ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে করোনা কালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষকে মায়ের মতো সামলেছেন। এই সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে করোনা কালীন সময়ে সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে ভারত একার উন্নয়নের বিশ্বাস করে না। ভারত মনে করে, বাংলাদেশসহ প্রতিবেশীদের উন্নতি হলেই টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হবে। দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শক্তিশালী করতে নতুন নতুন ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। যার মধ্যে মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ চালু করতে নয়াদিল্লির প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে ঢাকা। দুই পক্ষের সংশ্লিষ্টরা বসে এই বিষয়ে আগামীতে সিদ্ধান্ত নেবে।পাট পণ্য থেকে এন্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। এই সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে সমাধান করতে সংশ্লিষ্টতা নির্দেশ দেন।’
এর আগে, এই সফর নিয়ে গতকাল নয়াদিল্লিতে বিশেষ প্রেস ব্রিফিং করেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা। সেই ব্রিফিংয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে তেল রপ্তানি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেন, ‘বিভিন্ন সামগ্রী রপ্তানি নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছে। তেল ওই সব সামগ্রীর অন্যতম। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ভারতের আইওসি (ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন) কে চিহ্নিত করেছে। নিয়মিত আলোচনা হচ্ছে। আমদানি–রপ্তানির এই বিষয় নিয়ে যাবতীয় খুঁটিনাটি তৈরি হতে কিছুটা সময় লাগবে। বিষয়টি নিয়ে আইওসি ও বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা হবে।’ দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে রোহিঙ্গা সমস্যা কী আলোচনা হয়েছে, জানতে চাইলে বিনয় কোয়াত্রা বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রশ্নে বাংলাদেশ শঙ্কিত। এই সমস্যার সমাধানে যা কিছু করণীয় ভারত করছে। বাংলাদেশকে সহায়তা করছে। ভবিষ্যতেও সহযোগিতার হাত বাড়ানো থাকবে। নিশ্চিত ও নিরুপদ্রব প্রত্যাবর্তনের কর্মসূচি ভারত সমর্থন করে। এ বিষয়ে ভারতের ভূমিকা সব সময় ইতিবাচক থেকেছে। ভবিষ্যতেও থাকবে।’ নিত্যব্যবহার্য প্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ অব্যাহত রাখার প্রসঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘এই জন্য ‘সাপ্লাই চেন’ তৈরির ওপর ভারতের প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এসব পণ্যের মধ্যে পচনশীল ও অপচনশীল, খাদ্য ও অন্য সব ধরনের পণ্য রয়েছে। এই সাপ্লাই চেন ব্যবস্থা জোরদার করার চেষ্টা চলছে। সেপা নিয়ে আলোচনা চলতি বছর শুরু হবে বলে প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজেই জানিয়েছেন। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার সময় ওই বোঝাপড়া চূড়ান্ত হবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের বিরোধীরা কী বলছেন, সেটা নিয়ে মন্তব্য করা উচিত নয়। শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় সফরে এসেছেন। সর্বোচ্চ প্রটোকল অনুযায়ী তাঁকে স্বাগত জানানো হয়েছে। সম্মানীয় অতিথির অমর্যাদা ভারত করে না। প্রতিপক্ষের সমালোচনার জবাব দেওয়া সমীচীন নয়।’
সীমান্ত হত্যা বন্ধ নিয়ে কি আলোচনা হয়েছে জানতে চাই যে তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা ইস্যুতে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত অপরাধ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সীমান্তের অপরাধমূলক কর্মকান্ডগুলো আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিহত করার জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ বাংলাদেশের চীনের একাধিক উন্নয়ন কর্মকান্ড হচ্ছে এই বিষয়ে কোন আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দুইপক্ষের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এই সম্পর্ক এখন এমন জায়গায় অবস্থান করছে যা অতীতের যে কোন সময় তুলনায় উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বিদ্যমান। শান্তি নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার জন্য উভয় পক্ষই একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন। এখানে তৃতীয় পক্ষের কোন প্রভাব নেই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চার দিনের ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে গতকাল মঙ্গলবার নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে পৌঁছালে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান। তাঁকে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সেখানে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গার্ড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। এসময় দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে হায়দ্রাবাদ হাউসে নরেন্দ্র মোদি আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আগে গতকাল মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে যাওয়ার মাধ্যমে ভারতে তাঁর চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের দ্বিতীয় দিন শুরু করেন। প্রধানমন্ত্রী গতকাল রাজঘাটে ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন গতকাল বিকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সময় দুদেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলেন ভারতীয় রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। এমন সময়ে নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ভারতের রাষ্ট্রপতি মন্তব্য করেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মু বলেন, ‘ইতিহাস, ভাষা এবং সংস্কৃতিতে আমরা একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত।’ এছাড়া ভারতের বিরোধী দলের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
আগামীকাল বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়ন মন্ত্রী জি. কিষাণ রেড্ডি এবং নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথক সৌজন্য সাক্ষাত করবেন। একই দিনে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে একটি বৈঠক এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ বা গুরুতর আহত ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর অফিসারদের সরাসরি বংশধরদের ‘মুজিব বৃত্তি’ প্রদানের একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। পরদিন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ফেরার আগে প্রধানমন্ত্রী রাজস্থানের খাজা গরীব নওয়াজ দরগাহ শরীফ, আজমির (আজমির শরীফ দরগাহ) পরিদর্শন করবেন।
এ জাতীয় আরো খবর..