চাঁপাই খবর ডেস্ক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে এক তরুণ উদ্যোক্তাকে মারধর করে জখমের পর আবারও প্রাণনাশের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। নিজের পরিবারের নিরাপত্তার দাবিতে এসব অভিযোগ তুলে শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন, গোমস্তাপুর উপজেলার চাইপাড়া গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা ও মধু ব্যবসায়ী ফেরদৌস উল আলম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ১৫ মার্চ চাইপাড়া জামে মসজিদের সাউন্ড সিস্টেম চালুর বিষয় নিয়ে বাকবিতন্ডার হলে মসজিদের বাইরে এসে মারধর করে মুরগি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম। স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ছেড়ে দেয়। পরিদিন জাহাঙ্গীর আলম তার ছেলে ফারুক ও লোকজন নিয়ে এসে সন্ধ্যার দিকে ফাঁকা মাঠে একায় পেয়ে গলায় ইলেকট্রিক তার পেঁচিয়ে ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক মারধর করে।
মধু ব্যবসায়ী ফেরদৌস উল আলম আরও বলেন, স্থানীয় গুরুতর আহত অবস্থায় আমাকে উদ্ধার করে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে আসলেও এখনও হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এনিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে আমার পুরো পরিবার। থানায় অভিযোগ দিলেও উল্টো পুলিশ দিয়ে আমাদেরকেই হয়রানি করছে।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয়দের উপর জাহাঙ্গীর আলমের উপর নানারকম জুলুম নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, তরুন উদ্যোক্তা ফেরদৌস উল আলম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ভুক্তভোগী মো. জেম, রেবিনা বেগম।
মুরগি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার উপর আক্রমণ করার পর আমার ছেলে ও আমি নিজেকে রক্ষা করতে গিয়ে হাতাহাতি করেছি। এনিয়ে সামান্য আহত হলে তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। আমার ব্যবসায়িক সাফল্য দেখে একটা পক্ষ আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করছে।