অনলাইন নিউজ : জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ৩৫ হাজার মুসল্লির জন্য ঈদের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ভিআইপিদের জন্য ৬টিসহ মোট ১২১টি কাতারে নামাজ আদায় করবেন মুসল্লিরা। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে আটটায় এই ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।ঢাকা দক্ষিণ সিটির সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা বলছেন, রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নানা বয়সী মানুষ এ মাঠে নামাজ আদায় করেন। সে কারণে নিরাপত্তাসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে।
জাতীয় ঈদগাহ মাঠ প্রস্তুতের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, জাতীয় ঈদগাহে ৩৩০ জন ভিআইপি নামাজ আজাদ করতে পারবেন। তাদের মধ্যে ২৫০ জন পুরুষ ও ৮০ জন নারীর পৃথকভাবে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভিআইপিরা মাঠের সামনের অংশে থাকবেন। জায়গাটি বাঁশ দিয়ে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর সাধারণ মানুষদের মধ্যে ৩১ হাজার পুরুষ আর সাড়ে ৩ হাজার নারী মাঠে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
ঈদগাহ মাঠে প্রবেশের জন্য ভিআইপিদের জন্য একটি, জনসাধারণের জন্য দুটি (পুরুষদের জন্য একটি ও নারীদের জন্য একটি) ফটক রাখা হয়েছে। ঈদের নামাজ শেষে ভিআইপিরা একটি ফটক দিয়ে এবং জনসাধারণ ছয়টি (পুরুষদের জন্য পাঁচটি, নারীদের জন্য একটি) ফটক দিয়ে মাঠ থেকে বের হবেন।
এবার ঈদগাহ মাঠে মোট ১২১টি কাতারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে ভিআইপিদের নামাজের জন্য ছয়টি (পুরুষের জন্য পাঁচটি এবং নারীদের জন্য একটি) ও জনসাধারণের জন্য ১১৫টি কাতার রয়েছে। জনসাধারণের ১১৫টি কাতারের মধ্যে বড় আকারের ৬৫টি কাতারে পুরুষেরা নামাজ আদায় করবেন। আর নারীরা (পৃথক ব্যবস্থায়) ৫০টি ছোট আকারের কাতারে নামাজ আদায় করবেন। একসঙ্গে ১১৩ জন পুরুষের অজু করার ব্যবস্থা রয়েছে। পৃথকভাবে একসঙ্গে ২৭ জন নারীর অজু করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তীব্র গরমের বিষয়টি মাথায় রেখে ঈদগাহ মাঠে এসির ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত পানি ও লাইটের ব্যবস্থা, খাওয়ার পানি ও প্রাথমিক চিকিৎসাসুবিধা, ভ্রাম্যমাণ গণশৌচাগার, বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাসহ নানা সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।
২০০০ সাল থেকে জাতীয় ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুতের কাজটি করে আসছে ঢাকা সিটি করপোরেশন। করপোরেশন দুই ভাগ হওয়ার পর কাজটি করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি (ডিএসসিসি)। করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানান, এ বছর তীব্র গরমের কারণে মাঠে ৭০০টি সিলিং ফ্যান ও ১০০টি স্ট্যান্ড ফ্যান লাগানো হয়েছে। আলোর স্বল্পতা এড়াতে ৭০০ টিউব লাইট লাগানো হয়েছে। পাশাপাশি মুসল্লিদের জন্য বোতলজাত পানির পাশাপাশি ওয়াসার পানির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্র বলছে, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন জাতীয় ঈদগাহ মাঠে মূল ইমামের দায়িত্বে থাকবেন। আর বিকল্প ইমামের দায়িত্বে থাকবেন বাংলাদেশ সচিবালয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা ওমর ফারুক।