চাঁপাই খবর
চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালানোর সময় স্থানীয়দের গণপিটুনিতে মিজানুর রহমান মিজু (৩২) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তি জেলার সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শিমুলতলা বালুচর গ্রামের তরিকুল ইসলামের ছেলে।
এর আগে মিজানুর রহমান মিজুর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন দুজন। তারা হলেন- একই গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মসজিদের ইমাম মো. হোসেন আলী ও মৃত মসিদুর রহমানের ছেলে হারুণ অর রশিদ।
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে উপস্থিত থাকা সদর থানার এসআই জুবায়ের হোসেন ও বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মেহেদি হাসান জানান, মারা যাওয়া মিজানুর রহমান মিজু একজন মাদকাসক্ত ছিলেন।
ওয়ার্ড সদস্য মেহেদি হাসান জানান, এর আগে মাদক সেবনে হোসেন আলীসহ গ্রামবাসী মিজুকে বাধা প্রদান করেন। মিজু এতে ক্ষপ্ত হন। তারই জের ধরে মিজু আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শিমুলতলা বালুচর গ্রাম সংলগ্ন মহানন্দা নদীর পাড়ে হোসেন আলীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আহত করেন। এসময় তাকে বাধা দিতে গেলে হারুণ অর রশিদকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক সকাল সোয়া ৯টার দিকে তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
অন্যদিকে স্থানীয়রা মিজানুর রহমান মিজুকে ধরে গণপিটুনি দেন। এত তিনি গুরুতরভাবে আহত হন।
সদর থানার এসআই জুবায়ের হোসেন বলেন, খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মিজুকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নেয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়।
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফরহাদ আলী সুইট বলেন- “আজ সকাল ১০টার দিকে মিজানুর রহমান মিজুকে আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত রয়েছে।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম জাকারিয়া ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মিজানুর রহমান মিজুর মরদেহ হাসপাতালে রাখা ছিল।